আমাদের হ্যামিলনের বাশিঁওয়ালা, মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী দোয়া কবুল সর্ম্পকে একটি ওয়াজ করেছিলেন। আমরা অনেকেই জানি না সেই ওয়াজটি সর্ম্পকে।
সামনে আসন্ন রমজান মাস, ২০২০। এ সময় আমাদের জানা দরকার কোন কোন সময়ে দোয়া করলে সেই দোয়া সাথে সাথেই কবুল হয়। যাতে আমরা আমাদের সকল সহীহ্ নিয়ত ও দোয়াসমূহ খাস নিয়তে আল্লাহ তা’আলার দরবারে পেশ করতে পারি।
সামনে আসন্ন রমজান মাস, ২০২০। এ সময় আমাদের জানা দরকার কোন কোন সময়ে দোয়া করলে সেই দোয়া সাথে সাথেই কবুল হয়। যাতে আমরা আমাদের সকল সহীহ্ নিয়ত ও দোয়াসমূহ খাস নিয়তে আল্লাহ তা’আলার দরবারে পেশ করতে পারি।
মুমিন ঝোপ বুঝে কোপ মারে। সময় মতো কাজ করে। বুদ্ধিমানরা অবশ্যই সুযোগ সন্ধানী হয়ে থাকে। তাই দোয়া কবুলের মুর্হূর্তগুলোতে আমাদের অবশ্যই আমাদের রবের কাছে আমাদের দোয়া প্রার্থনা করা উচিত।
বাজারের লিস্টের মতো আমাদের দোয়ারও লিস্ট করে তারপর আল্লাহ তা’আলার কাছে আমাদের প্রার্থনা করা উচিত।
নেককার স্ত্রী ও সন্তানও দোয়া করে চাওয়ার মতো বিষয়। নবীরা এসব দোয়া করে চেয়ে নিতেন। এমনকি বিশ্বনবী (সা:) বলেছেন, ঘরে লবন না থাকলে সেই লবনটিও আল্লাহ তা’আলার দরবারে চাওয়ার জন্য।
দোয়া কবুলের কিছু নির্দিষ্ট সময় নিচে উল্লেখ করা করা হলো। যথা:
- রমজানে মাসে সেহারী খাওয়ার সময় দোয়া কবুল হয়।
- ইফতারি সামনে রেখে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়।
- আজান ও ইকামতের মাঝখানে দোয়া কবুল হয়।
- ফরজ সালাতের পর, তাজবীহ পড়ার পর দোয়া কবুল হয়।
- সালাতের ভিতরে দোয়া কবুল হয়। সালাতের ভিতরে দোয়া কবুল হওয়ার ৩টি সময় রয়েছে। তাকবীরে তাহরিমা বলার পরে আমরা যে ছানা পড়ি ওই সময় দোয়া কবুল হয়।
আমরা তো একটা মাত্র ছানা পড়ি। আল্লাহর রাসূল ৩টি ছানা পড়তেন। তাই ওই সময় দোয়া করলে সেই দোয়া আল্লাহ তা’আলা দোয়া কবুল করে নেন। - সেজদায় পড়ে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়।
- নামাজ শেষ করার আগে সালাম ফিরানোর পূর্বে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়।
আল্লাহর রাসূল বলেছেন, ৪ জিনিস থেকে পানাহ না চেয়ে যেন আমরা সালাম না ফিরাই। তিনি আমাদের পড়তে বলেছেন - আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি ওয়া মিন ‘আযা-বি জাহান্নামা, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া ওয়াল মামা-তি, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল। - বৃষ্টির নিজে দাড়িঁয়ে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়।
- কদরের রাতে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়। আল্লাহর রাসূল সে সময় মা আয়েশাকে এই দোয়াটি পড়তে বলতেন - আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল ‘আফওয়া ফা‘ফু ‘আন্নী।
- জুমার দিনে দোয়া কবুল হয়। একটা সময় আছে জুমার দিন যেদিন দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়। পৃথিবীর বড় বড় আলেমরা অনেকে মত দিয়েছেন যে সেই সময় হচ্ছে জুমার দিনে বিকালের দিকে আসরের নামাজের পরে, সূর্য ঢলে পড়ার আগে।
- কুরআন শরীফ খতমের পর দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়।
- হজ্জ্বে গিয়ে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়, আরাফার ময়দানে। তাওয়াফ করা অবস্থায়। মুলতাযামে দাড়িঁয়ে, হাজ্জ্বরে আসওয়াদ এর কর্ণার, তার ডানে কাবা শরিফের দরজা; এ দরজা ও হাজ্জ্বরে আসওয়াদ এর মাঝখানে যে জায়গাটা এই জায়গাটিকে আরবীতে বলে মুলতাযাম।
এখাানে দাড়িঁয়ে গা লাগয়ে দোয়া করলে সেই দোয়া আল্লাহ ফিরাই না। - মুসাফিরের দোয়া আল্লাহ তা’আলা ফিরিয়ে দেন না। সফরের সময় দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়।
- মজলুমের দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না।
- মা-বাবার দোয়া দোয়া নিলে সেই দোয়া আল্লাহ তা’আলা ফিরিয়ে দেন না।
দোয়া কবুলের কিছু শর্ত আছে। সেগুলি নিচে দিয়ে দেওয়া হলো। যথা:
- আপনার আয় উর্পাজন অবশ্যই হালার হতে হবে। হালাল যারা খায় তারা মুসতাজা আবুদ্দাওয়া।
- দোয়া করার সময় দোয়া করতে হবে শুধু একজনের কাছে; আর তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ তা’আলা। আল্লাহ তা’আলার পাশাপাশি অন্য কারো কাছে কিছু চাওয়া যাবে না। এটা শিরকের শামিল হবে।
- দোয়া করার সময় আপনাকে এমনভাবে দোয়া করতে হবে যেন আপনি মনে প্রাণে এটা মানেন যে আপনি যা বলছেন সেটি আল্লাহ তা’আলা শুনছেন, আপনি যা বলছেন সেটি আল্লাহ তা’আলা কবুল করবেন, অবশ্যই করবেন।
আল্লাহর উপর যার আস্থা বেশি তার দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। - আল্লাহর হাবীব, প্রিয়নবি (সা:) এর উপর বেশি বেশি করে দুরূদ শরীফ পড়া। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত না দুরূদ শরীফ পড়ব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দোয়াসমূহ আসমান জমিনের মাঝখানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। যখনই আমরা দুরূদ পড়তে থাকি, সেই দোয়াসমূহ সাত আসমান উপরে আল্লাহর আরশে চলে যায়।
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর উপর দুরূদ পড়তে হবে দোয়ার মাঝে, শুরুতে কিংবা শেষে। যদি আল্লাহর হাবীবের উপর দুরূদ না পড়েন তাহলে ওই দোয়া কবুল হবে না।
Comments
Post a Comment