Skip to main content

জানুন কোন ১৪টি সময়ে দোয়া করলে সেই দোয়া সাথে সাথেই কবুল হয়

আমাদের হ্যামিলনের বাশিঁওয়ালা, মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী দোয়া কবুল সর্ম্পকে একটি ওয়াজ করেছিলেন। আমরা অনেকেই জানি না সেই ওয়াজটি সর্ম্পকে।

সামনে আসন্ন রমজান মাস, ২০২০। এ সময় আমাদের জানা দরকার কোন কোন সময়ে দোয়া করলে সেই দোয়া সাথে সাথেই কবুল হয়। যাতে আমরা আমাদের সকল সহীহ্ নিয়ত ও দোয়াসমূহ খাস নিয়তে আল্লাহ তা’আলার দরবারে পেশ করতে পারি।

Hamiloner Bashiwala

মুমিন ঝোপ বুঝে কোপ মারে। সময় মতো কাজ করে। বুদ্ধিমানরা অবশ্যই সুযোগ সন্ধানী হয়ে থাকে। তাই দোয়া কবুলের মুর্হূর্তগুলোতে আমাদের অবশ্যই আমাদের রবের কাছে আমাদের দোয়া প্রার্থনা করা উচিত। 

বাজারের লিস্টের মতো আমাদের দোয়ারও লিস্ট করে তারপর আল্লাহ তা’আলার কাছে আমাদের প্রার্থনা করা উচিত। 

নেককার স্ত্রী ও সন্তানও দোয়া করে চাওয়ার মতো বিষয়। নবীরা এসব দোয়া করে চেয়ে নিতেন। এমনকি বিশ্বনবী (সা:) বলেছেন, ঘরে লবন না থাকলে সেই লবনটিও আল্লাহ তা’আলার দরবারে চাওয়ার জন্য। 

দোয়া কবুলের কিছু নির্দিষ্ট সময় নিচে উল্লেখ করা করা হলো। যথা:
  • রমজানে মাসে সেহারী খাওয়ার সময় দোয়া কবুল হয়।
  • ইফতারি সামনে রেখে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়।
  • আজান ও ইকামতের মাঝখানে দোয়া কবুল হয়।
  • ফরজ সালাতের পর, তাজবীহ পড়ার পর দোয়া কবুল হয়।
  • সালাতের ভিতরে দোয়া কবুল হয়। সালাতের ভিতরে দোয়া কবুল হওয়ার ৩টি সময় রয়েছে। তাকবীরে তাহরিমা বলার পরে আমরা যে ছানা পড়ি ওই সময় দোয়া কবুল হয়।

    আমরা তো একটা মাত্র ছানা পড়ি। আল্লাহর রাসূল ৩টি ছানা পড়তেন। তাই ওই সময় দোয়া করলে সেই দোয়া আল্লাহ তা’আলা দোয়া কবুল করে নেন।
  • সেজদায় পড়ে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়।
  • নামাজ শেষ করার আগে সালাম ফিরানোর পূর্বে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়।

    আল্লাহর রাসূল বলেছেন, ৪ জিনিস থেকে পানাহ না চেয়ে যেন আমরা সালাম না ফিরাই। তিনি আমাদের পড়তে বলেছেন - আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি ওয়া মিন ‘আযা-বি জাহান্নামা, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া ওয়াল মামা-তি, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল।
  • বৃষ্টির নিজে দাড়িঁয়ে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়।
  • কদরের রাতে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়। আল্লাহর রাসূল সে সময় মা আয়েশাকে এই দোয়াটি পড়তে বলতেন - আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল ‘আফওয়া ফা‘ফু ‘আন্নী।
  • জুমার দিনে দোয়া কবুল হয়। একটা সময় আছে জুমার দিন যেদিন দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়। পৃথিবীর বড় বড় আলেমরা অনেকে মত দিয়েছেন যে সেই সময় হচ্ছে জুমার দিনে বিকালের দিকে আসরের নামাজের পরে, সূর্য ঢলে পড়ার আগে।
  • কুরআন শরীফ খতমের পর দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়।
  • হজ্জ্বে গিয়ে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়, আরাফার ময়দানে। তাওয়াফ করা অবস্থায়। মুলতাযামে দাড়িঁয়ে, হাজ্জ্বরে আসওয়াদ এর কর্ণার, তার ডানে কাবা শরিফের দরজা; এ দরজা ও হাজ্জ্বরে আসওয়াদ এর মাঝখানে যে জায়গাটা এই জায়গাটিকে আরবীতে বলে মুলতাযাম।

    এখাানে দাড়িঁয়ে গা লাগয়ে দোয়া করলে সেই দোয়া আল্লাহ ফিরাই না।
  • মুসাফিরের দোয়া আল্লাহ তা’আলা ফিরিয়ে দেন না। সফরের সময় দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়।
  • মজলুমের দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না।
  • মা-বাবার দোয়া দোয়া নিলে সেই দোয়া আল্লাহ তা’আলা ফিরিয়ে দেন না। 
Hamiloner Bashiwala Waz

দোয়া কবুলের কিছু শর্ত আছে। সেগুলি নিচে দিয়ে দেওয়া হলো। যথা:
  • আপনার আয় উর্পাজন অবশ্যই হালার হতে হবে। হালাল যারা খায় তারা মুসতাজা আবুদ্দাওয়া।
  • দোয়া করার সময় দোয়া করতে হবে শুধু একজনের কাছে; আর তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ তা’আলা। আল্লাহ তা’আলার পাশাপাশি অন্য কারো কাছে কিছু চাওয়া যাবে না। এটা শিরকের শামিল হবে।
  • দোয়া করার সময় আপনাকে এমনভাবে দোয়া করতে হবে যেন আপনি মনে প্রাণে এটা মানেন যে আপনি যা বলছেন সেটি আল্লাহ তা’আলা শুনছেন, আপনি যা বলছেন সেটি আল্লাহ তা’আলা কবুল করবেন, অবশ্যই করবেন।

    আল্লাহর উপর যার আস্থা বেশি তার দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।
  • আল্লাহর হাবীব, প্রিয়নবি (সা:) এর উপর বেশি বেশি করে দুরূদ শরীফ পড়া। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত না দুরূদ শরীফ পড়ব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দোয়াসমূহ আসমান জমিনের মাঝখানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। যখনই আমরা দুরূদ পড়তে থাকি, সেই দোয়াসমূহ সাত আসমান উপরে আল্লাহর আরশে চলে যায়।

    মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর উপর দুরূদ পড়তে হবে দোয়ার মাঝে, শুরুতে কিংবা শেষে। যদি আল্লাহর হাবীবের উপর দুরূদ না পড়েন তাহলে ওই দোয়া কবুল হবে না। 

Comments

Popular posts from this blog

এক নতুন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা (Hamiloner Bashiwala)

Hamiloner Bashiwala এক নতুন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা (Hamiloner Bashiwala) হ্যামিলনের বাশিঁওয়ালার (Hamiloner Bashiwala) কাহিনী আমরা অনেকেই জানি। জার্মানির হ্যামিলন শহরে একবার এক মারাত্নক সমস্যা তৈরি হল। সে দেশে প্রচুর পরিমানে ইদুঁর এর পরিমাণ বেড়ে গেল। শহরের লোকজন তো বেশ নাজেহাল। বাসার ভিতরে ইদুঁর, বাহিরে ইদুঁর। স্কুলে ইদুঁর, এমনকি খাবারের প্লেটে কিংবা পানির গ্লাসের মধ্যেও ইদুঁর।  এমতাবস্থায় সেই শহরের মেয়র তো বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন। একজন নগরপিতা হিসেবে তার শহরে এ ধরনের কাজ হতে থাকলে তো তার জন্য সেটি চিন্তার বিষয়ই, তাই না? তো এমন একটি অবস্থায় সেই মেয়র সেই শহরের সকল জ্ঞানী-গুণী লোকজনদের নিয়ে একটি আলোচনা সভায় বসলেন।  সবাই সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নিলেন যে যে ব্যক্তি শহরের থেকে এই ইদুঁর দূর করতে পারবে, তাকে পুরষ্কৃত করা হবে।  এমন সময় হঠাৎ সেখানে একজন বাশিঁওয়ালা আসলেন। তিনি এসে মেয়রকে বললেন যে তিনি সমস্যাটি সমাধান করে দিতে পারবেন। তবে বিনিময়ে তাকে ১ হাজার স্বর্ণমুদ্রা প্রদান করতে হবে।  মেয়র সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলেন। তখন সেই বাশিঁওয়ালা তার ঝোলা থেকে একটি

মহামারি করোনা ভাইরাস নিয়ে মালয়েশিয়া থেকে মিজানুর রহমান আজহারী যা বললেন

গতকালকে ১৭ই মার্চ, ২০২০ এ আমাদের হ্যামিলনের বাশিঁওয়ালা (Hamiloner Bashiwala) , ড. মিজানুর রহমান বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহামারী করোনা ভাইরাস নিয়ে একটি লাইভ পরিচালনা করেছেন। যেখানে তিনি করোনা ভাইরাস এর আদ্যোপ্রান্ত নিয়ে কথা বলেছিলেন। কেন এই মহামারী আমাদের মাঝে আজকে বিরাজ করছে। তিনি বলেন সেখানে এটি বুঝানোর চেষ্টা করেছেন য কেন আসলে আমাদের মাঝে এই ধরনের দুর্যোগ বা মহামারী বিভিন্ন রোগ বালাই হয়ে থাকে। ইসলাম এক্ষেত্রে কি বলে। তিনি সে সময় বেশ কিছু হাদিসের রেফারেন্স টেনে একটি কথা বলেন যে এগুলো হয়ত আমাদের হাতের কামাই। অর্থাৎ এগুলো আমাদের পাপের ফল। আমরা পাপ কাজ করেছি, তাই আল্লাহ তা’আলা আমাদের প্রতি নারাজ হয়ে আমাদেরকে এই ধরনের আযাব আর গজব দিয়েছেন।  অতপর তিনি আরেকটি আরেকটি হাদিসের প্রসঙ্গ টেনে উল্লেখ করেন যে েএটি হতে পারে কেয়ামতের কোনো একটি আলামত। বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) তার একটি হাদিসে কেয়ামতের আগে ৬টি বিষয়ের বর্ণনা করেছেন। তার মধ্যে একটি ছিল এই মহামারী। তাই তিনি সে হাদিসের প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে উল্লেখ করেন যে হয়ত েএটি কেয়ামতের কোনো একটি ছোট্ট আলামতও হতে পারে।  আরেকটি হতে পারে যে