Hamiloner Bashiwala |
এক নতুন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা (Hamiloner Bashiwala)
হ্যামিলনের বাশিঁওয়ালার (Hamiloner Bashiwala) কাহিনী আমরা অনেকেই জানি। জার্মানির হ্যামিলন শহরে একবার এক মারাত্নক সমস্যা তৈরি হল। সে দেশে প্রচুর পরিমানে ইদুঁর এর পরিমাণ বেড়ে গেল। শহরের লোকজন তো বেশ নাজেহাল। বাসার ভিতরে ইদুঁর, বাহিরে ইদুঁর। স্কুলে ইদুঁর, এমনকি খাবারের প্লেটে কিংবা পানির গ্লাসের মধ্যেও ইদুঁর।
এমতাবস্থায় সেই শহরের মেয়র তো বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন। একজন নগরপিতা হিসেবে তার শহরে এ ধরনের কাজ হতে থাকলে তো তার জন্য সেটি চিন্তার বিষয়ই, তাই না? তো এমন একটি অবস্থায় সেই মেয়র সেই শহরের সকল জ্ঞানী-গুণী লোকজনদের নিয়ে একটি আলোচনা সভায় বসলেন।
সবাই সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নিলেন যে যে ব্যক্তি শহরের থেকে এই ইদুঁর দূর করতে পারবে, তাকে পুরষ্কৃত করা হবে।
এমন সময় হঠাৎ সেখানে একজন বাশিঁওয়ালা আসলেন। তিনি এসে মেয়রকে বললেন যে তিনি সমস্যাটি সমাধান করে দিতে পারবেন। তবে বিনিময়ে তাকে ১ হাজার স্বর্ণমুদ্রা প্রদান করতে হবে।
মেয়র সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলেন। তখন সেই বাশিঁওয়ালা তার ঝোলা থেকে একটি বেশ বড় বাশিঁ বের করলেন ও সেটি বাজাতে শুরু করলেন।
দেখা গেল যে, সেই শহরের যেখানে যত ইদুঁর ছিল সব সেই বাশিঁওয়ালার বাশিঁর সুরের প্রায় পাগল হয়ে তার পিছনে পিছনে হাটঁতে শুরু করল।
শহর থেকে একটু দূরে ছিল একটি নদী। বাশিঁওয়ালা সেই নদীর পাশে গিয়ে হঠাৎ তার বাশিঁর সুর বন্ধ করে দেন। দেখা গেল যে এতে করে ইদুঁরগুলো প্রায় অনেকটা পাগল হয়ে যায় এবং সবাই সেই নদীতে ঝাঁপ দিতে শুরু করে।
সেই নদীটি ছিল একটি স্রোতস্বিনী নদী। সেই সময় নদীতে প্রচুর স্রোত ছিল। এতে করে সেই ইদুঁরগুলো সব সেই স্রোতের কারনে নদীর সাথে ভেসে যায়।
সেই সাথে পুরো হ্যামিলন শহরটি মুক্ত হয় সেই ইদুঁরের কবল থেকে।
পরবর্তীতে সেই বাশিঁওয়ালা শহরের মেয়রের কাছে গিয়ে তার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ১ হাজার স্বর্ণমুদ্রা চায়। কিন্তু মেয়র সেটি দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
তিনি বলেন, “আমরা সারা বছর পরিশ্রম করেও তো ১ হাজার স্বর্ণমুদ্রা লাভ করতে পারি না, সেখানে তুমি মাত্র কয়েক ঘন্টার পরিশ্রমে এতো টাকা দাবি করছ কিভাবে? তুমি বরং বড়জোড় ৫০টি স্বর্ণমুদ্রা নিতে পার।”
বাশিঁওয়ালা তখন সেটি নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং তিনি মনে কষ্ট নিয়ে সেই দেশ ছেড়ে তখন চলে যান।
এরপর শহরের লোকজন আবার যে যার যার মতো করে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
কিন্তু কিছুদিন পর হঠাৎ আবার সেই বাশিঁওয়ালাকে সেই শহরে দেখা যায়। এবার তার পোষাকের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ করে শহরবাসী। এবার তিনি তার ঝোলা থেকে একটি ছোট বাশিঁ বের করলেন এবং তিনি সেটি বাজাতে শুরু করলেন।
দেখা গেল যে এতে সেই শহরের সকল ছোট ছোট বাচ্চারা তার সেই বাশিঁর সুরে পাগল হয়ে তার পিছনে পিছনে হাটঁতে শুরু করল। শহরের লোকজন বা সেই সব বাচ্চাদের পিতামাতারা কিছু করতে পারলেন না; কারন তারাও সেই বাশিঁওয়ালার বাশিঁর সুরে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে সেটি শুনছিলেন।
এমনকি এর ব্যতিক্রম হলেন না সেই শহরের মেয়র নিজেও। তিনিও সেই বাশিঁওয়ালার বাশিঁর সুরে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
অতপর সেই বাশিঁওয়ালা সেই বাচ্চাদের নিয়ে শহর থেকে খানিকটা দূরে একটি পাহাড়ের পাদদেশে গেলেন। সেখানে গিয়ে পাহাড়টি প্রায় দু’ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন।
বাশিঁওয়ালা ও তার সাথে সকল বাচ্চারা তারপর সেই পাহাড়ের মাঝখানে হারিয়ে গেলেন। তারপর থেকে আর কেউ জানে না সেই বাশিঁওয়ালা ও তার সাথের সকল বাচ্চাদের খবর।
এ যেন আরেক নতুন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা (Hamiloner Bashiwala)
তবে আজকে আমি আপনাদের সেই হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার (Hamiloner Bashiwala) গল্প বলতে আসি নি। আজকে আমি আপনাদের এমন একজন হ্যামিলনের বাশিঁওয়ালার গল্প বলব যিনি বর্তমানে যুগে বিরাজ করেন, তার নাম ড. মিজানুর রহমান আজহারী (Mizanur Rahman Azhari)।
তার জন্ম হয়েছিল ঢাকার ডেমরাতে, ১৯৯০ সালের ২৬শে জানুয়ারী। বর্তমানে পিএইচডি (PHD) পড়াশোনা করছেন মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে। পড়াশোনা শেষ করেছেন মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
আমার মতে আজকের এই মিজানুর রহমান আজহারী কোনো অংশেই সেই হ্যামিলনের বাশিঁওয়ালার তুলনায় কম নয়। তিনিই একমাত্র বক্তা যার মাহফিলে বৃদ্ধ-বণিতার তুলনায় যুবকের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি; যে যুবকদের তাবলিগ-জামাতের ভাইয়েরা ডাক দিয়েও মসজিদমুখী করতে পারেন নি, তিনি সেটা ওয়াজ মাহফিল করে দেখিয়েছেন।
তিনিই ছিলেন সেই একমাত্র বক্তা যিনি যেদিন যেই জেলাতে ওয়াজ করতে যেতেন সেদিন সেই জেলার ট্রাফিক কন্ট্রোল করা বেশ কষ্টকর হয়ে যেত পুলিশ ভাইদের জন্য। কক্সবাজারে তার মাহফিলের সময় পুরো কক্সবাজার শহর জ্যামের কারনে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনি তার আর কোনো বক্তার ক্ষেত্রে সাধারনত এমনটা খুব একটা হয় নি।
মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষণীয় ও ইসলামিক সত্য ঘটনা আছে। নিচে এ ধরনের কিছু গল্প বা সত্য কাহিনী নিচে উল্লেখ করা হলো।
এক খিষ্ট্রান বন্ধুর:
এক মুসলমান ভদ্রলোক থাকে দেশের বাহিরে (আমেরিকায়)। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী মানুষ। তিনি তার সারা জীবনে বহু লোককে তিনি ইসলাম ধর্মের সুশীতল ছায়াতলে এনেছেন।কিন্তু তার মনের মধ্যে একটি বিষয় প্রায়ই সময় নাড়া দেয়। তার বিজনেস পার্টনার বা ব্যবসায়িক বন্ধু একজন খ্রিষ্টান মানুষ। তিনি চিন্তা করলেন কিভাবে তার সেই খ্রিষ্টান বন্ধুকে ইসলাম ধর্ম কবুল করানো যায়।
হিসাব করে সুন্দর মতো এক দুপুরে লাঞ্চ খাওয়ানোর জন্য তিনি তার সেই খ্রিষ্টান বন্ধুকে (ব্যবসায়ী অংশীদার) তার বাড়িতে নিমন্ত্রন করলেন। খ্রিষ্টান বন্ধু তার বাড়ি এলেন।
পেটপুরে দুই বন্ধু লাঞ্চ করলেন। তারপর স্টার বাকসের দুই কাপ কফি দু’জনে নিয়ে বসলেন সোফায়। মুসলিম বন্ধুর মাথায় চিন্তা কিভাবে তাকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া যায়।
মুসলিম বন্ধু তার সেই খ্রিষ্টান বন্ধুকে প্রশ্ন করল, “বন্ধু তোমাকে যদি আমি ২০ লক্ষ খ্রিষ্টান দেই, তাহলে তাদের সবাইকে গোল গোল করে দাড়ঁ করাতে তোমার কত সময় লাগবে?”
খ্রিষ্টান বন্ধু অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করল, ”এগুলি তুমি কি বলো? ২০ লক্ষ খ্রিষ্টান তুমি পাবে কোথায়? তাছাড়া ২০ লক্ষ খ্রিষ্টানকে জায়গা দিতে পারবে এতো বড় মাঠও তুমি মাঠে কোথায?”
মুসলিম বন্ধু বলল, ”ধরে নাও আমি তোমাকে ২০ লক্ষ খ্রিষ্টান দিলাম ও তাদের সবাইকে জায়গা দেওয়ার মতো একটি বড় মাঠও আমি তোমাকে দিলাম। তোমার কত সময় লাগবে?”
খ্রিষ্টান বন্ধুটি উত্তরে বলল, “আমার অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এক সপ্তাহের কড়া প্রশিক্ষন দিতে পারলেই তাদের সবাইকে আমি গোল গোল করে সুন্দর সারিবদ্ধভাবে দাড়ঁ করিয়ে দিতে পারব।”
মুসলমান বন্ধুটি বলল, “গুড। কিন্তু মনে রেখ এরা সবাই কিন্তু একই দেশের লোক হবে না। এদের কেউ হবে আমেরিকান, কেউ হবে মালয়েশিয়ার, কেউ হবে যুক্তরাজ্যের, কেউ হবে সিঙ্গাপুরের। তোমার কত সময় লাগবে?”
খ্রিষ্টান বন্ধু উত্তরে বলল, ”তাহলে তো বিষয়টি আমার কাছে আরো জটিল হয়ে গেল। ঠিক আছে। সমস্যা নেই। সেটিও পারা যাবে। তবে আমার দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।”
মুসলিম বন্ধু বলল, “ঠিক আছে। কিন্তু এটিও মনে রেখ তারা সবাই কিন্তু একই ভাষাভাষির লোক হবে না। তাদের কেউ কথা বলবে বাংলা, কেউ ইংরেজী, কেউ মালয়া, কেউ হিন্দী, কেউ উর্দু। তোমার সেক্ষেত্রে মোট কত সময় লাগবে?”
খিষ্ট্রান বন্ধু উত্তরে বলল, “তাহলে তো বিষয়টি আমার কাছে আরো কঠিন হয়ে গেল। আমার আরো বেশি সময় লাগবে। অন্তত তিন সপ্তাহ তো লাগবেই।”
মুসলিম বন্ধু বলল, “বেশ বেশ। তবে এটিও একটু কষ্ট করে মনে রেখ যে এই ২০ লক্ষ খ্রিষ্টান কিন্তু একই বয়সের হবে না। কেউ বৃদ্ধ, কেউ যুবক, কেউ ছোট বাচ্চা, কেউ মধ্য বয়স্কা, কেউ যুবতী। তোমার কত সময় লাগবে?”
খ্রিষ্টান বন্ধুটি তখন বেশ হতাশ হয়ে পড়ল এবং বলল, “তাহলে এটি আমার দ্বারা কোনো দিনই সম্ভব হবে না। আমি দু:খিত বন্ধু।”
মুসলিম বন্ধুটির মুখটি তখন বেশ উজ্জল হল এবং সে বলে উঠল, “আমি এটি করতে পারব। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে!”
খ্রিষ্টান বন্ধুটি বেশ অবাক হয়ে গেল। সে বলে বসল, “অসম্ভব! এটি হতেই পারে না। ১০ মিনিটের মধ্যে তুমি ২০ লক্ষ মানুষকে কিভাবে সমান্তরাল বৃত্তে দাড়ঁ করাতে পারবে? এটি তো সম্ভব নয়।”
মুসলিম ভদ্রলোকটি তখন একটি মুচকি হাসি দিয়ে বলল, “এটি সম্ভব, ইনশাল্লাহ্। কিন্তু তোমাকে একটু কষ্ট করে Kingdom of Saudi Arabia তে একটু ভিজিট করতে হবে।”
খ্রিষ্টান বন্ধুটি তৎক্ষণাৎ রাজি হয়ে গেল।
মুসলিম বন্ধুটি বুদ্ধি করে জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে নিয়ে গেল সৌদিতে। তবে বিষয় হলো, সেখানে হেরেমের বাউন্ডারীতে কোনো কাফের, খ্রিষ্টান, ইহুদিরা ঢুকতে পারে না। মুসলিম বন্ধুটি অতি গোপনে তার পরিচয় গোপন করে তাকে নিয়ে গেল মক্কার কাবা শরিফের পাশে আব্দুল আজিজের ওয়াকফ্তে (জমজম টাওয়ার, দ্যা মক্কা রয়্যাল ক্লক টাওয়ার)।
১২০ তালা ভবনের ৮০ তলায় একটি রুম তারা ভাড়া করল। সেদিন সবাই হাজীরা মিনায় কুরবানীর শেষ করে মিনা ছেড়ে সবাই কাবা শরিফের পাশে এসে জমায়েত হয়েছে।
মাগরিবের সময়। খ্রিষ্টান বন্ধু হঠাৎ তার সেই মুসলিম বন্ধুকে জিজ্ঞেস করল, “তুমি না আমাকে একটি ম্যাজিক দেখাবে বলেছিলে?” মুসলিম বন্ধুটি আরেকবার েএকটি মুচকি হাসি দিয়ে বলল, “চলো জানালার কাছে যাই।”
৮০ তালা ভবনের উপরে দাড়িঁয়ে যখন তারা জানালাটি খুলল খ্রিষ্টান বন্ধু তো অবাক। ২০ লক্ষ হাজী একটি সাদা কাপড় আর একটি সাদা লুঙ্গি পড়ে “লাব্বাইক, লাব্বাইক” ধ্বনিতে পুরো আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছে।
আর ঠিক সেই সময় মক্কা শরিফে মাগরিবের আজান হতে শুরু করেছে। আজানের শব্দ শুনে ২০ লক্ষ হাজীরা কাবা শরিফের যতগুলো দরজা ছিল, বাবে ফায়সাল দিয়ে বাবে আব্দুল আজিজ দিয়ে, বাবে ওমরা দিয়ে কাবা শরিফের মধ্যে ঢুকতে শুরু করল।
মুহূর্তের মধ্যে তারা সবাই শৃংখলাবদ্ধভাবে সারিবদ্ধভাবে গোল হয়ে দাড়াঁতে শুরু করেছে। খ্রিষ্টান বন্ধু তো সর্ম্পূণ অবাক। কেন না তার এই সারা জীবনে সে এরকম কোনো দৃশ্য দেখে নাই।
কিছুক্ষনের মধ্যেই একামত শুরু হলো। একামত শেষ হওয়ার পর কাবা ঘরের মাকাব মানুষে ভরে গেল, তিন তালা হেরেম শরিফ ভরে গেল, হেরেম শরিফের বাহিরে বিশাল বড় ফাকাঁ জায়গা, সেখানে লোকে লোকারন্য। কবুতর চত্ত্বর, সারে ইবরাহীম আল খালিলী সব ভরে গেল মুহূর্তের মধ্যে।
২০ লক্ষ হাজী সমান্তরাল গোল গোল হয়ে দাড়িঁয়ে গিয়েছে। কাবা ঘরের সবচেয়ে সুরেলা কন্ঠের ইমাম শাইখ আব্দুর রহমান আল সুদাইস মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বলছেন, “কাতারবদ্ধ হয়ে যান। কাধেঁর সাথে কাধঁ লাগান, পায়ের সাথে পা লাগান।”
উনি নামাজ শুরু করেছেন ”আল্লাহু আকবার” বলে। উনার সাথে সাথে ২০ লক্ষ মুসলমানও একসাথে রুকু দেয়, একসাথে সেজদা দেয়। এ দৃশ্য দেখে খ্রিষ্টান লোকটি কান্নতে শুরু করল, কাপঁতে শুরু করল।
মুসলমান বন্ধু খ্রিষ্টান বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করল, “বন্ধু তুমি কাদোঁ কেন?” খ্রিষ্টান বন্ধু বলে, “আমার জীবনে এতো সুন্দর দৃশ্য আমি কোনোদিন দেখি নাই। কি নাম এই ধর্মের?”
মুসলিম বন্ধু বলে, “ইসলাম।”
খ্রিষ্টান বন্ধু বলে, “আমি আমার বাইবেল নিয়ে অনেক ভেজালে আছি। বাইবেলের এক জায়গায় লেখা এক কথা, আরেক জায়গায় লেখা আরেক কথা। কোনো মিল নাই। আর আমি খ্রিষ্ট ধর্মে থাকতে চাই না। আমাকে তুমি তোমার ধর্মে ঢুকিয়ে নাও।”
মুসলিম বন্ধু বলল, “অজুখানায় যাও তাহলে। আগে অজু করো। আর কাবার দিকে তাকিয়ে আমার হাতের মধ্যে তোমার ডান হাত রেখে বলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, মোহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ্’।”
মিজানুর রহমানী আজহারী, আমাদের আজকের দুনিয়ার এই হ্যামিলনের বাশিঁওয়ালার (Hamiloner Bashiwala) মুখে এ ঘটানটি শুনতে চাইলে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন।
আমাদের অন্যান্য পোস্ট সমূহ: