গতকালকে ১৭ই মার্চ, ২০২০ এ আমাদের হ্যামিলনের বাশিঁওয়ালা (Hamiloner Bashiwala), ড. মিজানুর রহমান বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহামারী করোনা ভাইরাস নিয়ে একটি লাইভ পরিচালনা করেছেন।
যেখানে তিনি করোনা ভাইরাস এর আদ্যোপ্রান্ত নিয়ে কথা বলেছিলেন। কেন এই মহামারী আমাদের মাঝে আজকে বিরাজ করছে।
তিনি বলেন সেখানে এটি বুঝানোর চেষ্টা করেছেন য কেন আসলে আমাদের মাঝে এই ধরনের দুর্যোগ বা মহামারী বিভিন্ন রোগ বালাই হয়ে থাকে। ইসলাম এক্ষেত্রে কি বলে।
তিনি সে সময় বেশ কিছু হাদিসের রেফারেন্স টেনে একটি কথা বলেন যে
ধন্যবাদ।
যেখানে তিনি করোনা ভাইরাস এর আদ্যোপ্রান্ত নিয়ে কথা বলেছিলেন। কেন এই মহামারী আমাদের মাঝে আজকে বিরাজ করছে।
তিনি বলেন সেখানে এটি বুঝানোর চেষ্টা করেছেন য কেন আসলে আমাদের মাঝে এই ধরনের দুর্যোগ বা মহামারী বিভিন্ন রোগ বালাই হয়ে থাকে। ইসলাম এক্ষেত্রে কি বলে।
তিনি সে সময় বেশ কিছু হাদিসের রেফারেন্স টেনে একটি কথা বলেন যে
- এগুলো হয়ত আমাদের হাতের কামাই। অর্থাৎ এগুলো আমাদের পাপের ফল। আমরা পাপ কাজ করেছি, তাই আল্লাহ তা’আলা আমাদের প্রতি নারাজ হয়ে আমাদেরকে এই ধরনের আযাব আর গজব দিয়েছেন।
- অতপর তিনি আরেকটি আরেকটি হাদিসের প্রসঙ্গ টেনে উল্লেখ করেন যে েএটি হতে পারে কেয়ামতের কোনো একটি আলামত। বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) তার একটি হাদিসে কেয়ামতের আগে ৬টি বিষয়ের বর্ণনা করেছেন। তার মধ্যে একটি ছিল এই মহামারী। তাই তিনি সে হাদিসের প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে উল্লেখ করেন যে হয়ত েএটি কেয়ামতের কোনো একটি ছোট্ট আলামতও হতে পারে।
- আরেকটি হতে পারে যে এটি হচ্ছে মহান আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে আমাদের প্রতি আযাব। আমরা যাতে আল্লাহ তা’আলার প্রতি নাফরমানি ছেড়ে দিয়ে এক আল্লাহ’র ইবাদাতে মশগুল হই।
- অপর আরেকটি বিষয় নিয়ে তিনি আলোচনা করেন আর তাহলো বর্তমান বিশ্বে অশ্লীলতার ছড়াছড়ি বর্তমান বিশ্বে ব্যাপক হারে হচ্ছে। এটিও মহামারীর একটি অন্যতম প্রধান কারন যা হাদিস দ্বারা সমর্থিত।
- এছাড়াও এমনটিও হতে পারে যে এটি আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে একটি বিপদ; যা মুমিনের ধৈর্য্য পরীক্ষা করার জন্য তিনি পাঠিয়েছেন।
ড. মিজানুর রহমান আজহারী তার ২য় যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন যে এরকম কোনো মহামারী হলে সেক্ষেত্রে মুমিন ব্যক্তিদের জন্য হাদিস দ্বারা কি ধরনের আমল করার কথা বলা হয়েছে।
বিশ্বনবী (সা:) যদি দেখতেন কোনো এলাকা মহামারী দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে তাহলে তিনি সেই এলাকাতে যেতে নিষেধ করতেন। আবার যারা সেই মহামারী দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকে সেখান থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন।
এ ধরনের মহামারী থেকে বাচাঁর জন্য তিনি যে সমস্ত বিষয়গুলো মেনে চলতে বলেছেন সেগুলো হলো:
- সর্তক থাকতে হবে। সচেতন হতে হবে। তবে আতংকিত হওয়া যাবে না।
- আল্লাহ তা’আলার উপর ভরসা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।
- স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েট মেনে চলতে হবে কুরআন ও সুন্নাহ পরিচালিত। যেমন: হালাল খাবার খাওয়া।আপনি যদি নিজেকে কোনো রকম ভাবে অসুস্থ বা মনে করেন যে আপনি করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত তাহলে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।
- বেশি বেশি করে দান সাদকা করুন।
- বেশি বেশি করে তাওবা ও ইস্তেগফার পড়া।
- সকাল সন্ধ্যা এই দোয়াটি ৩বার করে পড়া - বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়া দুররু মা ইসমিহি শাইয়ূন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামায়ি। ওয়াহুয়াস সামিউল আলিম। ফজরের নামাজের পরে ৩ বার ও মাগরিবের নামাজের পরে ৩ বার পড়া।
তিনি যেকোনো প্রকার অনিষ্ট থেকের বাচাঁর জন্য আরো একটি দোয়া পড়ার কথা বলেন। দোয়াটি হচ্ছে - আউযুবি কালিমাতিল্লাহী ত্বাম্মাতী মিন শাররিমা খালাক্বা।
এছাড়া যেকোনো ধরনের দুরারোগ্য থেকে মুক্তি লাভের জন্য আরও একটি হচ্ছে বেশি বেশি করে পড়ার জন্য তিনি বলেন। দোয়াটি হচ্ছে - আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুজামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসকম।
এছাড়া কোনো দূর্ঘটনায় পতিত ব্যক্তিকে দেখলে বা কোনো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দেখলে নিচের এই দোয়াটি পড়লে আল্লাহ্ তা’আলা দোয়া পাঠকারীকে আর কোনোদিন ওই দূর্ঘটনায় বা রোগে পতিত করবেন না, ইনশাল্লাহ্। দোয়াটি হচ্ছে - আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আফানি মিম্মানিবতালাকা বিহি; ওয়া ফাদ্দালানি আলা কাছিরিম মিম্মান খালাকা তাফদিলা।
এছাড়া সূরা ফালাক, সূলা নাস যেন আমরা বেশি বেশি করে তেলাওয়াত করি এবং সূরাতুল ফাতিহা বেশি বেশি করে পড়ি।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের হেদায়েত দান করুক। আমরা যেন এ ধরনের মহামারী থেকে বাচঁতে পারি ও ইসলামের দ্বীনি রহমতে যেন আমরা মৃত্যুবরন করতে পারি, আমীন।
আপনারা যারা যারা তার লাইভটি সরাসরি দেখতে চান তারা নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ।
Comments
Post a Comment